মাহে রামাযান আল্লাহ্ তা‘আলার পক্ষ থেকে একটি বরকতময় মাস। এ মাসকে আল্লাহ্ তা’আলা খুবই ভালবাসেন। এমাসের মর্যাদায় তিনি তাঁর রহমতের ভাণ্ডার উন্মোচন করে দেন। করুণা ও নে‘য়ামতের আধার জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দেন। শাস্তি ও গযবের আবাস জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেন। আর মানুষের চির শত্রু প্রকাশ্য দুশমন শয়তানকে শৃঙ্খলবদ্ধ করেন। যাতে করে মানুষ তাঁর রহমত, করুণা ও মাগফিরাত লাভে ধন্য হয়। জান্নাতের কর্ম করে জান্নাতের অধিবাসী হয় আর জাহান্নামকে ভয় করে ও শয়তান থেকে দূরে থাকে।
কিন্তু আফসোসের বিষয় হলেও সত্য কথা যে, বর্তমানে মানুষ মাহে রামাযানে ছিয়াম আদায় করে ঠিকই কিন্তু তাদের ছিয়াম তাদেরকে পরিশুদ্ধ করতে পারে না। এ মাসে তাদের অবস্থা দেখলে বুঝা যায়না যে, তারা কি সত্যই আল্লাহর আনুগত্য করছে না শয়তানের আনুগত্য করছে। রোজাদারের সংখ্যা অগণিত। কিন্তু তাদের মাঝে জান্নাতী কর্মের প্রবণতা খুবই কম। আল্লাহর জান্নাতের খোলা দরজা দিয়ে প্রবেশ করার অনীহাই যেন বেশী। আর জাহান্নামের বন্ধ দরজাকে খোলার জন্য করাঘাত করতেই বেশী ব্যস্ত। শয়তানকে শৃঙ্খলবদ্ধ করা হয়েছে সত্য কিন্তু আজ মানুষই যে বড় শয়তান সেজে বসে আছে। শয়তানী কাজ-কর্ম করার জন্য শয়তানের প্ররোচনার দরকার নেই। তাই তো কিছু লোকের কার্যকলাপ দেখে শয়তানও তাদের থেকে লজ্জাবোধ করে।
