পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব
ইসলামে পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্রতা অর্জন ছাড়া আল্লাহ তাআলার ইবাদাত-বন্দেগি করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান শারীরিক ইবাদাত নামাজ, আর্থিক ও শারীরিক ইবাদাত হজ ও ওমরা সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। হাদিসের ভাষায় শ্রেষ্ঠ ইবাদাত ‘কুরআন তিলাওয়াত’ও সম্ভব নয়। সংক্ষেপে পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরা হলো-
আরবি ত্বাহারাত অর্থ হলো পবিত্রতা। শরীরের বিশেষ অঙ্গসমূহকে কুরআন ও হাদিসের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ধৌত করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়। অর্থাৎ শরীর থেকে নাপাকি ও হদস দূর করাকে ত্বাহারাত বা পবিত্রতা বলা হয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তোমরা অপবিত্র হয়ে যাও তবে বিশেষভাবে পবিত্র হয়ে যাও। (সুরা মায়িদা : আয়াত ৬) এখানে গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনকে বুঝানো হয়েছে। যা স্বামী-স্ত্রীর মিলন, স্বপ্নদোষ, নারীদের ঋতুস্রাব ও সন্তান জন্মদানের ইদ্দত পালনের পর গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। এ সকল অবস্থায় গোসল ব্যতিত নামাজ এমনকি মুখস্ত কুরআন তিলাওয়াত করা এবং কুরআন ধরাও যাবে না।
- ইবাদাত-বন্দেগির জন্য শুধুমাত্র ব্যক্তি নিজে পবিত্রতা অর্জন করলেই হবে না বরং পরিধেয় বস্ত্র ও পোষাক পবিত্র হতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা পোষাক-পরিচ্ছদ পবিত্র রাখ। (সুরা মাদদাসসির : আয়াত ৪)
- নামাজের জন্য পেশাব-পায়খানার পর নির্দিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হতে ময়লা দূর করাসহ অজু ভঙ্গের যে কারণগুলো রয়েছে, তা থেকে পবিত্রতা অর্জন করাও আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! যখন তোমরা নামাজ পড়ার ইচ্ছা করো, তখন তোমাদের সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল ধৌত করো, উভয়হাত কনুইসহ ধৌত করা; মাথা মাসেহ করা; উভয় পা টাখনুসহ ধৌত করা।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৬)
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যারা ঘুম থেকে ওঠবে, তারা তিনবার হাত ধৌত না করা পর্যন্ত পানির পাত্রে হাত প্রবেশ করাবে না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্রতাকে ঈমানের অর্ধেক বলেছেন। হাদিসে এসেছে, ‘পবিত্রতা ঈমানের অর্ধাংশ।’ (মুসলিম, মিশকাত)
পরিশেষে…
কুরআনুল কারিমের ছোট্ট একটি আয়াতের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরতে চাই, আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তাওবাকারীকে ভালোবাসেন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালোবাসেন। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২২২) আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাঁর প্রিয় হওয়ার জন্য সব সময় পবিত্র থাকার তাওফিক দান করুন। পবিত্রতা অর্জনের গুরুত্ব মানুষের কাছে পৌছে দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ওযুর বর্ণনা:
ওযু করার সময় কেবলামুখী হয়ে কোন উঁচু স্থানে বসতে হবে। যাতে ওযুর পানি কাপড় অথবা শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে না আসে। ওযুর শুরুতে বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করতে হবে। এরপর সর্বপ্রথম তিনবার কব্জি পর্যন্ত হাত ধৌত করতে হবে। তারপর তিনবার কুলি করতে হবে। এরপর মেসওয়াক করতে হবে। যদি মেসওয়াক না থাকে তাহলে মোটা কাপড় অথবা শুধু আঙ্গুল দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে নিলেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে। এমন ভাবে পরিষ্কার করতে হবে যাতে দাঁতের গোড়া ও মুখের সমস্ত ময়লা দূর হয়ে যায়।
রোজাদার না হলে গড়গড়া করে সমস্ত মুখমন্ডলে পানি পৌঁছাতে হবে। যদি রোজাদার হয় তবে গড়গড়া করা যাবে না। কেননা, এর ফলে গলায় পানি পৌঁছে গেল রোজা ভেঙ্গে যাবে। তারপর তিনবার নাকে পানি দিতে হবে এবং বাম হাত দিয়ে নাক পরিষ্কার করতে হবে। রোজাদার ব্যক্তির নাকের নরম স্থানে পানি পৌঁছানোর দরকার নেই। অতঃপর তিনবার মুখ ধৌত করবে।
সকল স্থানে পানি পৌঁছানো
মাথার চুলের গোড়া থেকে শুরু করে থুতনির নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে আরেক কানের লতি পর্যন্ত সব স্থানে পানি পৌঁছাবে, যেনো কোন স্থান শুকনা না থাকে। অতঃপর ডান হাত তিনবার কনুইসহ ধৌত করবে এবং তারপর বাম হাত।
একহাতের আঙ্গুল অপর হাতের আঙ্গুলের ভিতর ঢুকিয়ে খেলাল করবে এবং আংটি চুরি ইত্যাদি যা কিছু হাতে আছে তা নেড়েচেড়ে ভালোভাবে ধৌত করা যাতে কোন স্থান শুকনো না থাকে।
অতঃপর সমস্ত মাথা একবার মাসেহ করবে, এবং তারপর কান মাসেহ করবে। কানের ভিতর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা এবং উপরের দিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দ্বারা মাসেহ করবে। তারপর আঙুল এর পিঠের দিক দ্বারা ঘাড় মাসেহ করবে। গলা মাসেহ করবে না, কারণ তা নিষিদ্ধ।
কান মাসেহ করার জন্য নতুন পানি নেওয়া আবশ্যক নয়, মাথা মাসেহ করার পর হাতে যে পানি থাকে তাই যথেষ্ট। এরপর ডান পা তিনবার টাখনুসহ ধৌত করবে অতঃপর বাম পা তিনবার টাখনুসহ ধৌত করবে। বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙ্গুল দ্বারা পায়ের আঙ্গুলগুলো খেলাল করবে।
পায়ের ডান কনিষ্ঠাঙ্গুল থেকে শুরু করে বাম কনিষ্ঠাঙ্গুল পর্যন্ত গিয়ে শেষ করবে। এই হচ্ছে ওযু করার পদ্ধতি। তবে এর মধ্যে বেশ কিছু বিষয় আছে, যেগুলো কোন একটিও যদি ছুটে যায় অথবা কোনও কমতি থাকে তাহলে ওযু হবে না। প্রথমে যেমন অজু বিহীন ছিল তেমনি অজু বিহীন থাকবে। এমন বিষয় গুলোকে ওযুর ফরজ বলা হয়।
আবার কিছু কিছু বিষয় আছে, যেগুলো ছুটে গেলে ওযু হয়ে যাবে তবে তা করলে সওয়াব হয় এবং শরীয়তে করার ব্যাপারেও তাগিদ আছে। যদি কোনো ব্যক্তি এগুলোর অধিকাংশ বিষয় ছেড়ে দেয় তবে গুনাহ হবে। এমন বিষয়গুলোকে সুন্নত বলা হয়। আরো কিছু বিষয় আছে, যেগুলো করলে সওয়াব হয় কিন্তু না করলে গুনাহ হয় না এবং শরীয়তে এগুলো করার ব্যাপারে তাগিদ করা হয়নি। এমন বিষয় গুলোকে মুস্তাহাব বলে।
অজুর ফরজ চারটি
১। সমস্ত চেহারা একবার মাসেহ করা।
২। একবার একবার করে কনুইসহ উভয় হাত ধৌত করা।
৩। মাথার এক চতুর্থাংশ ১ বার মাসেহ করা।
৪। টাখনুসহ দুই পা একবার ধৌত করা।
এগুলো হচ্ছে ওযুর ফরজ। এগুলো থেকে যেকোনো একটি ছুটে গেলে অথবা এই স্থান গুলোর পশম পরিমাণ জায়গা শুকনা থাকলে ওযু হবে না।
ওজুর সুন্নত আটটি –
ওযুর বেশ কিছু সুন্নত রয়েছে, যেগুলোর ব্যাপারে শরীয়তে তাগিদ এসেছে ও করলে সওয়াব হবে। এবং অধিকাংশ ছেড়ে দিলে গুনাহ হবে। এমন বিষয়গুলোকে সুন্নাত বলা হয়।
১। প্রথমে কব্জি সহ দুই হাত ধৌত করা।
২। বিসমিল্লাহ বলে ওযু শুরু করা।
৩। নাকে পানি দেয়া।
৪। মেসওয়াক করা।
৫। সমস্ত মাথা মাসেহ করা।
৬। প্রত্যেক অঙ্গ ৩ বার মাসেহ করা।
৭। কান মাসেহ করা
৮। হাত ও পায়ের আঙ্গুল খিলাল করা।
এই সবগুলো বিষয় হচ্ছে ওযুর সুন্নত।
এছাড়া বাকি যা আছে সেগুলো মুস্তাহাব, যা করলে সওয়াব হবে এবং না করলে কোন গুনাহ হবে না।
ওজুর মাকরূহসমূহৃ
(১) প্রয়োজনের বেশি পানি ব্যয় করা।
(২) প্রয়োজনের চেয়ে কম পানি ব্যয় করা।
(৩) মুখমণ্ডলে এমনভাবে পানি নিক্ষেপ করা যে, পানির ছিঁটা অন্যত্র পড়ে।
(৪) ওজুর সময় অপ্রয়োজনীয় কথা-বার্তা বলা।
(৫) ওজুর সময় বিনা ওজরে অন্যের সাহায্য নেয়া।
(৬) নতুন পানি নিয়ে তিনবার মোথা মাসেহ করা।
ওযু ভঙ্গের কারণ সমুহ
(১) পায়খানা পশ্রাবের রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হওয়া ।
(২) শরীরের কোন জায়গা হতে রক্ত পুজ বা পানে বের হয়ে গরিয়ে পরা ।
(৩) মুখ ভরিয়া বমি করা ।
(৪) থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশী হওয়া।
(৫) চিৎ বা কাত হয়েহেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া।
(৬) পাগল মাতাল অচেতন হওয়া ।
(৭) নাক দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হওয়া।
(৮) রুকু সেজদা বিশিষ্ট নামাজে উচ্চস্বরে হাসা।
তায়াম্মুমের বর্ণনা:
তায়াম্মুমের ফরয ৩টি-
(১) পাক হওয়ার নিয়ত করা (নামাজ পড়া বা কোরআন তিলাওয়াতের জন্য পবিত্রতা অর্জনের নিয়্যত করা)।
(২)দুই হাত একবার মাটিতে রেখে/মেরে তা দিয়ে মুখমন্ডল মাসেহ করা।
(৩) দুই হাত আবার মাটিতে রেখে/মেরে দুই হাতের কনুই মাসেহ করা (হিন্দিয়-১/৫০, আলমগীরী ১/২৫-২৬)।
তায়াম্মুমের সুন্নত আটটি-
(১) বিসমিল্লাহ বলা
(২) প্রথমে দুই হাত পরে দুই হাত কনুই মাসেহ করা।
(৩) মাটিতে হাতের তালু মারা পিঠের দিক নয়।
(৪) মাটিতে হাত মারার পর মাটি ঝেড়ে ফেলা।
(৫) দুই হাতের আংগুল প্রসারিত করে মাটিতে মারা যাতে হাতে ধুলা লাগে।
(৬) অন্তত তিন আংগুল দিয়ে চেহারা ও হাত মাসেহ করা।
(৭) প্রথমে ডান হাত ও পরে বাম হাত মাসেহ করা।
(৮) চেহারা মাসেহ করার পর দাড়ি খেলাল করা।
যেসকল বস্তু দ্বারা তাইয়াম্মুম যাবে-
(১) মাটি
(২) বালি
(৩) বিভিন্ন ধরনের পাথর, যেমন কালো পাথর, মারমার (মার্বেল) পাথর, চুনা পাথর ইত্যাদি।
(৪) মাটি জাতীয় সব জিনিসের উপর তায়াম্মুম করা যেতে পারে, যেমন পোড়া কাদা মাটি- ইট ও কলস।
কখন তায়াম্মুম করা জায়েজ?
(১) যদি পানি পাওয়া না যায়।
(২) পানি যদি এক ক্রোশ দূরে থাকে (এক ক্রোশ হলো, চার হাজার কদম।)
(৩) পাওয়া গেলেও নাগালের বাইরে।
(৪) পানি ব্যবহারে ভীষণ ক্ষতির আশংকা।
(৫) (সুস্থ ব্যক্তি) অসুস্থ হয়ে পড়ার বা (রুগ্ন ব্যক্তির) রোগ নিরাময়ে বিলম্ব হওয়ার কিংবা রোগ বেড়ে যাওয়ার আশংকা থাকলে।
(৬) শত্রু, হিংস্র প্রাণীর ভয় বা পিপাসার ভয় থাকে কিংবা বালতি বা রশি পাওয়া না যায়।
(৭) যে সব নামাজের কাজা নেই (যেমন জানাযা ও ঈদের নামাজ ইত্যাদি) তা ওজু করে না পাওয়ার আশংকা থাকলে।
তায়াম্মুম ভঙ্গের কারণ
যে সকল কারণে ওযু ভঙ্গ হয় সে সকল কারণে তায়াম্মুমও ভঙ্গ হয়।এছাড়াও পানি পাওয়া গেলে কিংবা পানি ব্যবহারে সক্ষম হলে তায়াম্মুম ভঙ্গ হয়ে যায়।
গোসলের বিবরণ
গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি ?
ঈমানদারকে সবসময় শারীরিক পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখতে হয়। অজুর পাশাপাশি তাকে সময়-সুযোগ ও সুবিধা-আবশ্যিকতা অনুপাতে গোসলও করতে হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) অপবিত্র দূর করার জন্য গোসল করার তাগিদ দিয়েছেন। গোসলের তিনটি ফরজ ও ছয়টি সুন্নত রয়েছে। মুমিনরা এগুলো একনিষ্ঠভাবে পালন করেন। যথাযথভাবে এসব ফরজ পালন না করলে— ফরজ গোসল ঠিকমতো হয় না। এতে গোসলকারী অপবিত্র থেকে যায়।
গোসলের ফরজগুলো হলো—
গড়গড়াসহ কুলি করা
গোসলের প্রথম ফরজ হলো- গড়গড়াসহ কুলি করা। মুখের ভেতর অনেক সময় খাবারের উচ্ছিষ্ট জমে থাকে। গলার ভেতরেও কফ জমে থাকে। তাই গড়গড়াসহ কুলি করলে গলার কফ ও মুখের ভেতর জমে থাকা খাবারের উচ্ছিষ্ট দূর হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও ফরজ গোসলের অংশ হিসেবে কুলি করেছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৫৭ ও ২৬৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৫৬৬)
নাকে পানি দেওয়া
গোসলের আরেকটি ফরজ হলো- নাকের ভেতর পানি দেওয়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও নাকে পানি দিয়েছেন। এ সম্পর্কিত একাধিক হাদিস বর্ণিত রয়েছে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৬৫; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৫৬৬)
সারা শরীরে পানি দেওয়া
এমনভাবে গোসল করতে হবে— যাতে শরীরের কোনো অঙ্গ শুকনো না থাকে। এ প্রসঙ্গে একাধিক হাদিস রয়েছে। সেসব হাদিস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন গোসল করতেন, তখন তার শরীরের সব অংশ ভেজা থাকতো। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২১৭)
গোসলের সুন্নত ছয়টি
১. গোসল শুরুর আগে ‘বিসমিল্লাহ রাহমানির রাহিম’ পাঠ করা।
২. পবিত্রতা অর্জনের নিয়ত করা।
৩. দুই হাতের কব্জি ওযুর মতো তিনবার পরিষ্কার করা।
৪. কাপড় অথবা শরীরের কোথাও অপবিত্র কোনো কিছু থাকলে— গোসলের আগে তা পরিষ্কার করা।
৫. গোসলের আগে অজু করা। গোসলের স্থান নিচু হলে ও পানি জমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে টাখনুসহ দুই পা পরে পরিষ্কার করা।
৬. ডান দিকে তিনবার, বাম দিকে তিনবার ও মাথার ওপর তিনবার পানি প্রবাহিত করা।
গোসল কখন ফরজ?
পাঁচটি কারণে গোসল ফরজ হয়। কারণগুলো হলো-
১. স্বামী-স্ত্রী সহবাস করলে কিংবা পুরুষের স্বপ্নদোষ হলে।
২. নারীদের ঋতুস্রাব অথবা পিরিয়ড হলে।
৩. সন্তান প্রসবের পর রক্তপাত বন্ধ হলে।
৪. মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া জীবিতদের জন্য।
৫. কোনো অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করলে।
গোসল কখন সুন্নত?
চারটি কারণে গোসল সুন্নত। কারণগুলো হলো-
১. জুমার নামাজের আগে গোসল করা সুন্নত।
২. ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার নামাজের আগে গোসল করা সুন্নত।
৩. ইহরামের জন্য গোসল করা সুন্নত।
৪. হাজীদের আরাফায় অবস্থানের সময় গোসল করা সুন্নত।