নামাজ

ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল নামাজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কুরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২/৮৩ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। নামাজের গুরুত্ব ও ফায়েদা সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরামের সামনে অসংখ্য হাদিন বর্ণনা করেছেন। তন্মধ্যে একটি হলো-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম- (হে আল্লাহর রাসুল!) আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল কোনটি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘নামাজ’। (বুখারি ও মুসলিম)

উল্লেখিত হাদিস বর্ণনা প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার আল্লামা মোল্লা আলি ক্বারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘এ হাদিসের মাধ্যমেই আলেমগণ ঈমানের পর নামাজকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করেন।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা মনোনীত সর্বোত্তম আমল হলো নামাজ। অতএব যে বেশি বেশি নামাজ পড়তে সক্ষম, সে যেন বেশি বেশি নামাজ পড়ে। (তাবারানি)

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের গুরুত্ব বুঝাতে হাদিসের মাধ্যমে একটি উপমা প্রদান করেছেন।

হজরত আবু যর গিফারি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সময় শীতকালে বাইরে (কোথা্র) তাশরিফ আনলেন। তখন গাছের পাথা ঝরার মওসুম ছিল। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাছের একটি ডাল হাত দিয়ে ধরলেন। ফলে তার পাতা আরও বেশি ঝরতে লাগল।

অতঃপর তিনি বললেন, হে আবু যর! আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি উপস্থিত। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করলেন-

‘মুসলমান বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজ আদায় করে, তখন তার থেকে পাপসমূহ ঝরে পড়ে; যেমন এ গাছের পাতা ঝরে পড়ছে। (মুসনাদে আহমদ)

নামাজই একমাত্র ইবাদত; যার মাধ্যমে মানুষ দুনিয়ার সব কাজ ছেড়ে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নিবেদিত হয়ে যায়। এ নামাজই মানুষকে দুনিয়ার সব পাপ-পংকিলতা থেকে ধুয়ে মুছে পাক-সাফ করে দেয়। দুনিয়ার সব অন্যায়-অনাচার থেকে হেফাজত করে।

পরিশেষে…

নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া মুমিন মুসলমানরে ঈমানের দাবি ও ফরজ ইবাদত। নামাজি ব্যক্তিই হলো সফল। যার সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন প্রিয়নবি। তিনি বলেছেন-

‘যে ব্যক্তি নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে; কেয়ামতের দিন ওই নামাজ তার জন্য নূর হবে এবং হিসেবের সময় নামাজ তার জন্য দলিল হবে এবং নামাজ তার জন্য নাজাতের কারণ হবে।

পক্ষান্তরে

যে ব্যক্তি নামাজের প্রতি যত্নবান হবে না- কেয়ামতের দিন নামাজ তার জন্য নূর ও দলিল হবে না। তার জন্য নাজাতের কোনো সনদও থাকবে না। বরং ফেরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খালফের সাথে তার হাশর হবে।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সহিহ তরিকায় সঠিক পদ্ধতিতে নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। ফরজ নামাজ আদায়ের পাশাপাশি নফল নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। নামাজকে পরকালের নাজাতের ওসিলা বানিয়ে দিন। আমিন।

নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ নামাজ। ইমানের পর নামাজের চেয়ে গুরুত্ব অন্য কোনো ইবাদতে প্রদান করা হয়নি। কোরআন শরিফে ৮২/৮৩  বার নামাজের আলোচনা এসেছে। নামাজ ফরজ হওয়া প্রসঙ্গে আল্লাহপাক বলেন, ‘হে নবী! আমার বান্দাদের মধ্যে যারা মুমিন তাদের বলুন, নামাজ কায়েম করতে’। (সূরা ইবরাহিম, আয়াত-৩১)। অন্যত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, ‘তোমরা লোকদের সঙ্গে উত্তমভাবে কথা বলবে এবং নামাজ আদায় করবে। (সূরা বাকারাহ, আয়াত-৮৩)। অন্যত্র আল্লাহ ইরশাদ করেন, তুমি বলে দাও, আমার রব ন্যায়বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন। তোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় তোমাদের মুখমণ্ডল স্থির রেখ। (সূরা আরাফ, আয়াত-২৯)। অন্যত্র বলেন, ‘অতএব, আল্লাহকে সিজদা কর এবং তার ইবাদত কর।’ (সূরা নাজ্ম, আয়াত-৬২)। সূরা বাকারার শুরুতে আল্লাহতায়ালা মুত্তাকীদের পরিচয় দিতে ইরশাদ করেন, ‘যারা অদৃশ্যের বিষয়গুলোতে ইমান আনে এবং নামাজ কায়েম।’ (সূরা বাকারাহ, আয়াত-৩)।

আল্লাহতায়ালা নামাজের উপকার সম্পর্কে ইরশাদ করেন, এবং নামাজের পাবন্দি কর দিনের দুপ্রান্তে ও রাতের কিছু অংশে। নিঃসন্দেহে সৎ কাজসমূহ অসৎ কাজসমূহকে মিটিয়ে দেয়।’ (সূরা হূদ, আয়াত-১১৪)। নামাজের ব্যাপক কল্যাণসমূহের উল্লেখযোগ্য একটি হলো নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, নামাজের পাবন্দি কর। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। (সূরা আনকাবুত, আয়াত-৪৫)। অন্যত্র আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যারা কিতাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে এবং নামাজ প্রতিষ্ঠা করে আমি এরূপ সৎকর্মশীলদের কর্মফল নষ্ট করি না।’ (সূরা আরাফ, আয়াত-১৭০)। অন্যত্র ইরশাদ করেন, ‘মুমিনরা নামাজ আদায় করে, জাকাত আদায় করে এবং আল্লাহ ও তার রসুলের আদেশ মেনে চলে এসব লোকের প্রতি আল্লাহ অবশ্যই করুণা বর্ষণ করবেন।’ (সূরা তওবা, আয়াত-৭১)। সূরা বাইয়্যিনাতে আম্বিয়ায়ে কেরামের দাওয়াতের দ্বিতীয় ধাপ স্বরূপ নামাজকে উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তাদের এছাড়া কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহতায়ালার ইবাদত করবে এবং নামাজ কায়েম করবে।’ (সূরা বাইয়্যিনাহ, আয়াত-৫)।

যে ব্যক্তি ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ নামাজকে সব শর্তসহ খুশু-খুযুর সঙ্গে নবী তরিকায় আদায় করবে তার এই নামাজ তাকে সব ধরনের অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে। আর খুশু-খুযুর সঙ্গে নামাজ আদায়কারীদের সুসংবাদ দিয়ে আল্লাহ ইরশাদ করেন, নিশ্চয় সব মুমিন নামাজ আদায় করে।’ (সূরা মুমিনূন, আয়াত-১-২)।

তাছাড়া নামাজের ব্যাপারে যারা উদাসীন থাকে তাদের ব্যাপারে শাস্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘দুর্ভোগ সেসব নামাজির জন্য নিজেদের নামাজের ব্যাপারে যারা থাকে গাফেল।’ (সূরা মাউন, আয়াত-৪-৫)। অন্যত্র আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘(সেদিন) অপরাধীদের সম্পর্কে পরস্পরে জিজ্ঞাসা করবে যে, কিসে তোমাদের জাহান্নামের ঠেলে দিয়েছে? তারা বলবে, আমরা নামাজি ছিলাম না।’ (সূরা মুদ্দাসসির, আয়াত-৪২-৪৩)। আর রোজ হাশরে নামাজের মাধ্যমেই হিসাব-নিকাশ শুরু হবে। যার নামাজ সঠিক হবে তার অন্যান্য আমলও সঠিক বলে বিবেচিত হবে। আর যার নামাজ অসুন্দর হবে তার অন্যান্য আমলও অসুন্দর বলে গণ্য হবে। নামাজ তরককারী ব্যক্তি ইসলামি জীবন থেকে বঞ্চিত এবং তার জীবনযাপন কাফেরের জীবনযাপনের মতোই।

এ মর্মে রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘বান্দা ও কুফরের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য হলো নামাজ ত্যাগ করা।’ (মুসলিম, মেশকাত)। হজরত উবাদা ইবনে সামির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রসুল (সা.) আমাদের সাতটি অসিয়ত করেন, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি কাজ হলো- তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক কর না। যদিও তোমাকে টুকরা টুকরা করে ফেলা হয় বা অগি্নকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হয় আর ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ কর না। কেননা যে ইচ্ছা করে নামাজ ছেড়ে দেয় সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়।

ফরজ নামাজ না পড়ার পরিণাম

ফরজ নামাজ আদায় না করা মারাত্মক অপরাধ। পদ্ধতিগতভাবে পার্থক্য থাকলেও আগের নবীদের যুগেও নামাজের বিধান ছিল। কিন্তু তাঁদের পরবর্তী লোকেরা নামাজের ব্যাপারে গাফিল হয়ে পড়ে। এর পরিণতি হলো জাহান্নাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, “নবী ও হিদায়াতপ্রাপ্তদের পর এলো এমন এক অপদার্থ বংশধর, যারা নামাজ বিনষ্ট করল এবং প্রবৃত্তির পূজারি হলো। সুতরাং তারা ‘গাই’ নামক জাহান্নামের শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। তবে যারা এরপর তাওবা করে নিয়েছে, ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে তারাই তো জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি কোনো ধরনের জুলুম করা হবে না।” (মারইয়াম, আয়াত : ৫৯-৬০)

অন্য আয়াতে এসেছে, কিয়ামতের দিন জাহান্নামীদের জিজ্ঞাসা করা হবে—‘কেন তোমরা সাকার নামক জাহান্নামে এলে? তারা বলবে, আমরা তো নামাজি ছিলাম না এবং আমরা মিসকিনদেরও খাবার দিতাম না; বরং আমরা সমালোচনাকারীদের সঙ্গে সমালোচনায় নিমগ্ন থাকতাম। এমনকি আমরা প্রতিদান দিবসকে অস্বীকার করতাম। আর এভাবেই হঠাৎ আমাদের মৃত্যু এসে গেল।’ (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত : ৩৮-৪৭)

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি এবং কুফর ও শিরকের মধ্যে ব্যবধান শুধু নামাজ না পড়ারই। যে নামাজ ছেড়ে দিল সে কাফির হয়ে গেল (কাফিরের মতো কাজ করল)।’ (মুসলিম, হাদিস : ৮২; তিরমিজি, হাদিস : ২৬১৯)

অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আমাদের ও কাফিরদের মধ্যে ব্যবধান শুধু নামাজেরই। যে নামাজ ত্যাগ করল সে কাফির হয়ে গেল।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৬২১ ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৮)

ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ছেড়ে দিলে মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তির ওপর থেকে তাঁর জিম্মাদারি বা রক্ষণাবেক্ষণ তুলে নেন। মুআজ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) আমাকে দশটি নসিহত করেন, তার মধ্যে বিশেষ একটি এটাও যে তুমি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ করো না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ত্যাগ করল তার ওপর আল্লাহ তাআলার কোনো জিম্মাদারি থাকল না।’ (মুসনাদ আহমাদ : ৫/২৩৮)

নামাজ না পড়লে ইহকালেও বহু ক্ষতি সাধিত হয়। বুরাইদা (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ পরিত্যাগ করল তার সব আমল বরবাদ হয়ে গেল।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৫৩, ৫৯৪)

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তির আসরের নামাজ ছুটে গেল তার পরিবারবর্গ ও ধন-সম্পদের যেন বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৫২; মুসলিম, হাদিস : ৬২৬)

নামাজ পড়া মুসলিমদের একটি বাহ্যিক নিদর্শন। তাই উমর (রা.) বলতেন, ‘নামাজ ত্যাগকারী নির্ঘাত কাফির।’ (বায়হাকি, হাদিস : ১৫৫৯, ৬২৯১)

আলী (রা.) বলেন, ‘যে নামাজ পড়ে না সে কাফির।’ (বায়হাকি, হাদিস : ৬২৯১)

আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) বলেন, ‘যে নামাজ পড়ে না সে মুসলমান নয়।’ (বায়হাকি, হাদিস : ৬২৯১)

অর্থাৎ নামাজ পরিত্যাগ করা কাফিরদের কাজ, যে মুসলমান নামাজ পড়ল না সে যেন কাফিরের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ কাজ করল।

নামাজের মাসায়েল

নামাজের ফরয ১৩ টি

[৭ টি নামাজের বাহিরে ]

১/ শরীর পাক

২/কাপড় পাক

৩/ নামাজের জায়গা পাক

৪/ সতর ডাকা

৫/ কেবলামুখী হওয়া

৬/ নামাজের ওয়াক্ত চেনা

৭/ নিয়্যাত করা

[ ৬ টি নামাজের ভিতরে ]

১/ তাকবীরে তাহরিমা বা আল্লাহু আকবার বলা

২/ দাঁড়াইয়া নামাজ পড়া

৩/ কেরাত পড়া

৪/ রুকু করা

৫/ সেজদা করা

৬/ শেষ বৈঠক

নামাজের ওয়াজিব ১৪টি

১/ সুরা ফাতিহা পড়া

২/ সুরা ফাতেহার সঙ্গে সুরা মিলানো

৩/ রুকু ও সেজদায় দেরী করা

৪/ রুকু হইতে সোজা হইয়া দাঁড়ানো

৫/ দুই সেজদার মাঝখানে সোজা হইয়া বসা

৬/ দরমিয়ানী বৈঠক

৭/ দুই বৈঠকে আত্ত্যাহিয়াতু পড়া

৮/ ঈমামের জন্য কেরাত আস্তের জায়গায় আস্তে পড়া এবং জোড়ের জায়গায় জোড়ে পড়া

৯/ বিতিরের নামাজে দোয়া কুনুত পড়া

১০/ দুই ঈদের নামাজে ছয় তকবীর বলা ৷

১১/ ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাত কেরাতের জন্য নির্ধারিত করা ৷

১২/ প্রত্যেক রাকাতের ফরজ গুলির তরতীব ঠিক রাখা ৷

১৩/ প্রত্যেক রাকাতের ওয়াজিব গুলির তরতীব ঠিক রাখা ৷

১৪/ আস্আলামু আ’লাইকুম ও’রাহ…বলিয়া নামাজ শেষ করা

১৯টি কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়ে থাকে

১/ নামাজে অশুদ্ধ কোরআন পড়া ৷

২/ নামাজের ভিতর কথা বলা ৷

৩/ নামাজের ভিতর কাউকে সালাম দেওয়া

৪/ নামাজের ভিতর সালামের উত্তর দেওয়া

৫/ নামাজের মধ্যে বিনা ওজরে কাশি দেওয়া

৬/ নামাজের ভিতরে ওহ্ আহ্ শব্দ করা

৭/ নামাজের মধ্যে আমলে কাছির করা ( মোক্তাদি হয়ে ঈমামকে অনুসরন না করা)

৮/ নামাজের মধ্যে বিপদে ও বেদনায় শব্দ করা

৯/ নামাজের মধ্যে তিন তজবী পরিমান সতর খুলিয়া রাখা

১০/ মোক্তাতী ব্যতীত অপর ব্যক্তির লোকমা লওয়া

১১/ সুসংবাদ ও দুঃসংবাদের উত্তর দেওয়া

১২/ নাপাক জায়গায় সেজদা করা

১৩/ কেবলার দিক হইতে সীনা ঘুরিয়া যাওয়া

১৪/ নামাজের মধ্যে কোরআন শরীফ দেখিয়া পড়া

১৫/ নামাজের মধ্যে শব্দ করিয়া হাসা ৷

১৬/ নামাজের মধ্যে সাংসারিক বা দুনিয়াবী প্রার্থনা করা

১৭/ নামাজের মধ্যে হাচির উত্তর দেওয়া

১৮/ নামাজের মধ্যে খাওয়া ও পান করা

১৯/ ঈমামের আগে মুত্তাতীর নামাজে দাঁড়ান ।

Leave a Reply