আল্লাহ তায়ালা কুরআনে মাজিদে এরশাদ করেন, আমি মানুষ এবং জ্বিন জাতিকে শুধু আমার এবাদ বন্দেগি করার জন্য সৃষ্টি করেছি । সূরা জারিয়াহ (আয়াত নং ৫৬)। এবাদত কাকে বলে এবং কিভাবে এবাদত করতে হয় অবশ্যই এ বিষয়গুলো শিখে নিতে হবে। আর এ বিষয়গুলো শিখতে হলে কুরআন এবং হদীস পড়তে হবে। আমরা জানি যে, কুরআন এবং হাদীস শিখানো হয় শুধু দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে । তাই এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দুনিয়াতে থাকা একান্ত প্রয়োজন। যার মেধ্যে আল্লাহর দ্বীন নেই তার মধ্যে আল্লাহ তায়ালার ভয়ও নেই। আর যার মধ্যে আল্রাহর ভয় নেই তার পক্ষে সকল প্রকার অপরাধ করা সম্ভব। বর্তমান ফেতনা ফাসাদের এ জামানায় দ্বীন না থাকার কারণে মানুষের আখলাক চরিত্র দিন দিন এমন এক পর্যায়ে যাচ্ছে যা জাহিলিয়্যাতকেও হার মানায়। এর এক মাত্র কারণে হচ্ছে কুরআন ও হাদীসের চর্চা না থাকা। অতএব কুরআন ও হাদীসের চর্চাকে বাড়াতে হবে। কুরআন ও হাদীসের চর্চাকে বাড়ানোর জন্য দ্বীনি এই প্রতিষ্ঠানগুলো খুব বেশী প্রয়োজন। পৃথিবীতে দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলো যত দিন থাকবে ততদিন দ্বীনের সহিহ তালিমও থাকবে। দ্বীনের তালিম থাকলে মানুষের আখলাক চরিত্র সুন্দর হবে। সমাজ ও রাষ্ট্র হবে সুশ্রিংখল । ইমান আমলের বিশুদ্ধতার পাশাপাশি জান মালের নিরাপত্তা থাকবে। তখনই মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে এবং সাথে সাথে আল্লার দ্বীন জেনে এবাদত বন্দেগি করাও সহজ হবে। যে সমাজের সর্বত্র শয়তানের রাজত্ব কায়েম হবে সে সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে বদদ্বীন ছড়িয়ে পরবে। অন্যায় অবিচার সমাজের সবজায়গায় ছেয়ে যাবে। তখন এমন সমাজে বসবাস করে দ্বীন মানা এবং আল্লাহর এবাদত বন্দেগি করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে। তাই আসুন! সমাজ ও রাষ্ট্রকে সুন্দর করার জন্য এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য দ্বীনি এই প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে খুব বেশী খেয়াল রাখি। বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করি। নিজেদের সন্তানদেরকেও দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষত করি। তাহলে দুনিয়ার জীবন আমাদের সুন্দর হবে এবং পরকাল হবে সুখময়। আল্লাহ তায়ালা আমদেরকে তাওফিক দান করুন আমিন।